সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েবের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে । সরকারি কর্মকর্তা হয়েও প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাকে এ নোটিশ দেওয়া হয়।
সিকৃবির রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানের পক্ষে সভায় নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে বক্তব্য দেওয়ায় তাকে নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রোববার (১৪ মে) দেওয়া ওই নোটিশে নির্বাচন কমিশন সিলেট অফিসে হাজির হয়ে তাকে লিখিত বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১৩ মে) নগরের একটি হোটেলের কনফারেন্স কক্ষে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা শাখা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অতিথি ছিলেন সিকৃবি’র রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব। ওই অনুষ্ঠানে তিনি সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানের উপস্থিতিতে তার পক্ষে ভোট চান। ঘটনাটি জানতে পেরে নির্বাচন কমিশন তাকে শোকজ করে।

সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬-এর বিধি ২২(১) অনুযায়ী, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী সরকারি বা সরকারের সুবিধাভোগী ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন না। সিকৃবির রেজিস্ট্রার আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।
এ বিষয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব জাগো নিউজকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে আমি ওই সভায় উপস্থিত ছিলাম। তবে প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট চাইলে যে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় তা আমার জানা ছিল না।’
সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের আগেই গণসংযোগ, সমাবেশ ও শোডাউন করছেন। পাশাপাশি দলীয় প্রতীকে তারা ভোট চেয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। সোমবারও (১৫ মে) আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান এবং জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুলকে সমাবেশে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে।
সিলেট জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারণা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যারা এ ধরনের কার্যকলাপ করছেন নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
আরও দেখুনঃ
3 thoughts on “সিকৃবির রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ”